বড় সাধ ছিল | মুহাম্মাদ ইমরানের কবিতা | Boro Sadh Chilo | Muhammad Imran |

বড় সাধ ছিল তোমার স্পর্শে
জীবনের মানে বোঝার;
সাধ ছিল তোমার কবুল বলার ভঙ্গিটা দেখার ।

সাধ ছিল চাঁদকে সাথে নিয়ে
সারারাত ডিঙ্গি নৌকায় ঘুরে ফেরার,
জ্যোৎস্নার আলোকে জিম্মি করে
মুদ্রাহীন ছন্দের তালে তালে ঢলাঢলি করার ।

সাধ ছিল পুরোদস্তুর স্বপ্নাতুর বনে যাবার
অধরা স্বপ্নের খুব কাছাকাছি চলে যাবার ।
সাধ ছিল ভালোবাসাকে চেটেপুটে খাওয়ার,
আকস্মিক চুম্বনে
তোমার ঘর্মাক্ত লালা শুষে নেওয়ার ।

সাধ ছিল একটি সন্তান, কন্যা সন্তান;
দেখতে তোমার মতো
হবে, আমার অনুভূতির মাস্তান ।
সাধ ছিল তোমার মুখ থেকে ঘন ঘন
‘এই শুনছো’ শুনার।

উচ্চাভিলাষী বিরামহীন ঝগড়া শেষে
দুজন দু’কাত হয়ে ঘুমের ভান করে
সারানিশি চোখ বড় করে চেয়ে থাকার ।

একটি দোতলা বাড়ি, একটি ছোট সংসার
দুজন মিলে একটি জীবন, আবহ চমৎকার ।
বড় সাধ ছিল শিশুতোষ ভালোবাসায়
তোমাকে আগলে রাখার,
নিজেকে নিঃশেষ করে দিয়ে
তোমাকে নির্মাণ করার।


১৭ ১০ ১৬

বেশ আছি | মুহাম্মাদ ইমরানের কবিতা | Besh Achi | Muhammad Imran |

এই তো আছি ভালো, বেশ !
চাওয়া–পাওয়ার
নেই কোনো হিসেব–নিকেশ ।
আকাশপানে রাত-দুপুরে
খুঁজতে হয় না কোনো তারা
ঘুমের ঘোরে স্বপ্নরা আর
ইশারায় দেয় না কোনো সাড়া ।

মাথার সিঁদুর হয়ে ছিলে যতকাল
পারিনি বুঝতে আমি সকাল আর বিকাল ।
কোথায় ছিল চিরসবুজের স্নান
গতরের ময়লা গতরেই ছিল
সুগন্ধি সাবানের ছিল কী কোনো দাম ?

ভাবতে হবে না আর কেউ আছে
আমার সাথে যুক্ত
প্রয়োজন হবে না রাখার
তাঁর অবুঝ শত আবদার
আমা ভিতরের আমিরে’ করে দিয়েছি মুক্ত ।

শাশ্বত, আমি মহানায়ক
অম্লান সবুজে গাঁথা এক প্রাণ
অনিঃশেষ ভালোবাসায়, নুয়েপড়া শ্রদ্ধায়
বলতে হবে না’ আর তাঁরে ‘জান’ ।।


১১ ১১ ১৬